বিয়ে না করেও একসঙ্গে এক দশকের বসবাস!
বিয়ে না করেও একসঙ্গে এক দশকের বসবাস!
এক যুগ আগে ২০১৩ সালে ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে পরিচয় হয় অভিনয়শিল্পী ঋদ্ধি সেন ও সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই পরিচয় প্রেমে গড়ালো দুই বছর পর।
এই প্রসঙ্গে ঋদ্ধি বলেন, ঢাকা কালীবাড়ির কাছে একটা জায়গায় আমাদের লুক সেট হয়েছিল। খুব গম্ভীর মুখ করে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে অনিচ্ছাসত্ত্বেও ছবি তুলেছিলাম। কিন্তু প্রেম হয়নি সেই সময়ে। তখন আমাদের মধ্যে কথাবার্তা হতো, ভালো বন্ধুত্ব ছিল। এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে যায়।
এরপর তাদের মধ্যে শুরু হয় চিঠি লেখালেখি। চিঠি লিখে একটা বইয়ের মধ্যে ঢুকিয়ে সুরঙ্গনা’র কোচিং ক্লাসের সময় দিয়ে আসতেন ঋদ্ধি। তখন দু’জনেই দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশুনা করছিলেন। সম্পর্কের সঙ্গে সঙ্গে পরিণত হয়েছে তাদের বন্ধুত্বও। কোনো ইগো’র দ্বন্দ্ব, ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া পার করে দিয়েছেন ১০ বছর।
এতদিন সম্পর্কে থেকে যাওয়াটা বড় ব্যাপার বলেই মনে করেন ঋদ্ধি। আর তারা একে অপরের স্বভাব পাল্টাতে চান না। পরস্পরের প্রতি রয়েছে অগাধ শ্রদ্ধা।
দীর্ঘদিন এক সঙ্গে থাকার পর বিয়ে করা প্রসঙ্গে ঋদ্ধি বলেন, সুরঙ্গনা বললো, বিয়ের মানেটা কী ? এটা কি একটা এনজেগমেন্ট রিং, সই, মালাবদল ? এতে কী প্রমাণ হয় ? আমরা যে একসঙ্গে আছি, এখন যেভাবে আছি এটা কি যথেষ্ট নয় ?ঋদ্ধি বলেন, একসঙ্গেই তো থাকি। এত বছর আছি। এখনও যে সম্পর্কটা অফিশিয়াল নয়, সেটাই বা কে বলতে পারে ?
সুরঙ্গনা বলেন, আমরা একসঙ্গে আছি, ভালো আছি। সবকিছুর আগে তো আমাদের সম্পর্কের মজবুত ভিতটা বন্ধুত্ব, সেটা আমরা এনজয় করি প্রতি মুহূর্তে। আলাদা করে স্বীকৃতি নিয়ে কোনো যুগেই ভাবিনি। আমরা দুজনেই তকমায় বিশ্বাসী নই।
শুধু এইটুকু বিশ্বাস করি – একসঙ্গে আছি, ভালোবাসায় আছি। এই মুহূর্তের লক্ষ্য শুধু কাজ। দু’জন ক্রিয়েটিভ মানুষ এক জায়গায় আছি, সুতরাং যা করবো ভালোই করবো। তিনি আরও জানান, আসলে আমি ছোট থেকে মা, বাবাকে পর্দায় কাজ করতে দেখেছি। তাই বাড়ির ভিতরকার লড়াইটা আমায় কখনও লড়তে হয়নি।
সুরঙ্গনা এই প্রসঙ্গে আরও, আসলে এত বছর তো দেখছি, সমাজের সেলিব্রিটি ট্রলিংয়ের সঙ্গে এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কী রকম ? আমরা যারা পর্দার ওপারের মানুষ, তাদের তো প্রতি পদক্ষেপ ভেবে ফেলতে হয়, না হলেই ট্রোল্ড হয়ে যাবো।
আরো পড়ুন:
যতই আমরা ভাবি আমাদের কিছু এসে যায় না, তবু আমরা তো মানুষ। পরিবার আছে, তারাও তো অ্যাফেক্টেড হতে পারে। তারকা মানেই তো আমাদের মন নেই তা নয়, খারাপ তো লাগেই।
No comments